Monday 30 July 2012

62nD pOsT : জাঁ ককতো-র ‘ক্রুসিফিকশান’


অচঞ্চল শান্তি। গাছশরীরের
গরাদকাঠ। দাঁড়িয়ে থাকা
মরা গাছটার শরীরের সিঁড়ি
মরা গাছটার গায়ে দাঁয করানো
সিঁড়ি। কান্নাফোঁটার
হাতল
তারপর ওরা কাঁটাতার
দেখতে পেল। ছায়া। তারপর
ওরা দেখতে পেল পেরেকের
বাদামগাছ। কাঠে
উপশিরা। মানুষটার রক্তশিরা
রাস্তার ওপর দিয়ে চলে গেছে। যে ন্যাকড়ায়
পথগুলো বাঁধা
একে আরেকের ওপর স্হির বাতাস
আর ছিঁড়ে নামানো আবরণ
বাঁধা গরাদকাঠ আর তার গিঁট খোলা
ওরা দেখলো। ছায়া। কড়িকাঠ-প্রান্ত
দরোজার পাটাতন। খাঁজকাটা। বিয়ের বর
ডানা ঝাপটাচ্ছিল কাকতাড়ুয়া
বুনো গোলাপঝোপ। রাজমিস্ত্রির
সিঁড়ি
একটা গরাদকাঠ। কাঁটা ঝোপের
ঠায় দাঁড়ানো বেড়া। ঘুমের
চোরাবালি। রোদের
রঙে ছোপানো জাহাজডুবি
জাহাজডুবির থ্যাঁতলানো গাছে
ঝিনুক শামুক আর আরও
মরা খোলস
আমি তোমায় জিঘ্যেস করছি কে
জানালা ধরে দাঁড়িয়ে
কে? চেহারার আকারে
হিমের ছাল-ছাড়ানো
জলজ্যান্ত
অচঞ্চল শান্তি। বিষমূলের বদলে নাড়িভুঁড়ির
শেকড় বেরিয়ে আসে
আর কীরকম তা দেখতে! যেন এক অগ্নিকাণ্ডকে
জলে ডুবিয়ে পাথর করা হয়েছে
কী-বা জল। ডিম-সাদার আঠা দিয়ে
উন্মাদের অগ্নিকাণ্ড দিয়ে দোকান ঝাঁপের লোহার ঝুলে-পড়া পর্দা দিয়ে। ছুঁচ আর মোম দিয়ে গড়া
হাতুড়ি পিটিয়ে বের-করা গাছের
সুষুম্না থেকে চাগিয়ে-ওঠা
হাহাকার
যা জুডিয়ার
ছুঁচালো তুঁতকাঁটার ফাঁদে
কাঁটাদার বেড়ার ওপরে মেলে দেয়া
রক্তাক্ত যকৃত
টেবিলচাদরে তুঁতফলের
ভয়াবহ দাগ। যে কাপড় কাঁটাতারে
শুকোচ্ছে তাকে করেছে
চিহ্ণিত। সূর্যের আলোয়
টেবিলের ঢাকাগুলো প্যাচপেচে কাদায়
শুকোয়। চাদরগুলোয় ঝুলতে থাকে
আসল হাতের নকল শুভ্রতার
ছায়াখেলায় মুখবিকৃত
বাসিন্দারা
আমাকে বলো কোথায় বেঁধে
ক্রুশকাঠ। শীতল আলগা ঠোঁটের
নিঃসারিত কান্নার হাহাকার দিয়ে
ক্ষত সারিয়ে তুলবো
শিরদাঁড়ার বাঁশির সুর শুনতে পাবো
এত হালকা যে কংকাল
একটি মাত্র সুতোয় ঝুলে থাকে কেননা
রক্তের পুঁটলি থুতুর পুঁটলি
পিত্তের পুঁটলি
দু-টুকরো করা পাতলা কোমরে
জবুথবু ঝুলে থাকে। আমাকে বলো ক্রুশকাঠ কোথায় বেঁধে
তুলো আর ফালিকাপড় জড়িয়ে দেবো
আর লাল রঙের ক্রসচিহ্ণ
এঁকে দেবো তার ওপর
চেনাই যায় না
কদম-ছাঁট গাছটাকে
অমন অসাধারণ চেহারার দুদিকে
ছড়ানো শাখা
সমানভাবে মেলে দেয়া সেখানে
স্পন্দন আর ধমনি
পাগলের মতন তড়পাচ্ছিল
এমনি শরীরের সুড়ঙ্গগুলো
একজন আতঙ্কিত মানুষকে
তাড়িয়ে নিয়ে-যাওয়া ভিড়ের ধাক্কা
ছেয়ে ফেলছিল
দেহকে স্নান করানো হয়েছিল অপব্যবহৃত
নীরস নোংরা বিধ্বস্ত
ছিন্নভিন্ন গ্রন্থিচ্যূত
ওপরে ওঠানো বেঁকানো নোয়ানো তুলে-ধরা
বাঁধা পেরেক ঠোকা পেরেক তোলা
হেঁচড়ানো তাচ্ছিল্য
ফালির পর ফালি কাটা
ঝোলানো টেনে ধরা টেনে নামানো
বেছানো দড়িবাঁধা পাটাতনে শোয়ানো হাঁটানো চপেটাঘাত চাবুক
দেগে দেয়া হয়েছিল অনন্তকাল জুড়ে
দোমড়ানো নাম-ফলক থেকে
মুর্দাফরাশের জুতো অব্দি
নরকযন্ত্রণাকে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল
একাধিক সিঁড়ি-প্রস্তুতকারক
প্রযুক্তিবিদের আঁকজোক
যা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
চিমনি-ঝেঁটিয়েদের জন্যে নিষিদ্ধ ছিল
অনন্তকাল পর্যন্ত নাটকের
হৃদয়কেন্দ্রে তাড়িয়ে নিয়ে-যাওয়া ওই যন্ত্র
নক্ষত্রমন্ডলীর দ্যুতিকে ছাপিয়ে
বিরক্তিকর নিষ্ঠায়
নিয়ন্ত্রণ করেছে তাকে
কখনো তুমি এতগুলো সিঁড়ি একসঙ্গে দেখেছো?
দেখেছো কখনও মগডালের
ঘিঞ্জি জায়গায় একদম
বৃষ্টিধারার খুঁটি-পোঁতা খাঁচা
এমন প্যাঁচালো
মাচান বাঁধার উদ্যম? কখনও কি
অনুগত মাকড়সার জাল
কড়ি-বরগায় ঝুলতে দেখেছো তুমি?
অতগুলো সিঁড়ি? কেল্লার দেয়ালে
ঠেস-দেয়া সত্যিকার
যুদ্ধযন্ত্র
এই বাতাসনশীন বিশৃঙ্খল
বারান্দার নর্দমা-ঝাঁঝরির
পাঁচিলের জাফরির
কসাইদের হালুইকরদের
কয়েদিদের ছুঁড়ে দেয়া
তরুণীদের রতি-ইশারা। হিব্রু ভাষায়
লেখা দস্তাবেজ কিন্তু আমার দৃঢ় বক্তব্য:
সিঁড়িগুলো সিঁড়িগুলোকেই বেয়ে উঠছে
তাদের লাথি মারছে
কনুয়ের ধাক্কা ডানায় ঝাপট দিচ্ছে
জলপাখির কান্না
১০
লালচে সিঁড়ি বেয়ে খালি-পা বাহকরা
বিরক্তিকর হঠকারীতায়
এসেছে অদৃশ্য
অগ্নিকান্ড প্রতিরোধীর দল
আসছে যাচ্ছে ঠেলাঠেলি করছে
নীচে থেকে ওপর থেকে
পাশ থেকে
শুকনো রক্ত দিয়ে তৈরি গুল্মের লেস-বসানো
ঘৃণার কাঁটালতা
আর আমি কি- বা বলছি? যে স্হির আকাশ
আমরা ব্যাপক বলে ভেবেছিলুম
তা একটা আলপিন-ডগা
অন্য কোথাও ফোটানো
নানা-রকম উদাসীন হাতের কারসাজি
এটা এমন একটা ব্যাপার যে
( গোপন কথা )হাসাহাসির
খোরাক জোগায়
১১
ছিল আঘাত। ছিল লোহার ওপর লোহার গদাম। বাতাসের
পুরানো গোলাপ। আঘাত। পায়ের
হাড়গিলে পাখনায়
শ্বাসরোধী আঘাত। পায়ের পাতার
শেতলপাটিতে কাঠফলকের ওপর। স্নায়ুর
নিত্যকর্মপদ্ধতি থেকে বিচ্ছুরিত
ঝকঝকে আলোকমালায় যেখানে কষ্ট
প্রবালের যন্ত্রণাদায়ী কপিকলে
কষ্টের চেয়ে বেগে ছোটে
আঘাতের প্রতিধ্বনি। পদকসমৃদ্ধ
আঘাত। আঘাতের
কানকুহর। কাঠর আত্মা। আঘাতের আত্মা
যার আদপে আত্মা নেই
মেরামতকারীর দেয়া আঘাত। ছুতোর মিস্ত্রির
দেহা আঘাত। নীল মাংসের
আঘাত। হাত দেখানো
রাস্তার কাঠফলক। রাজহাঁসের গলা
১২
কাজ ভালোভাবেই সারা হয়েছে। কী অদ্ভুত
শোভাযাত্রা। অন্ত্যেষ্টির
কী ৎসব। বনকাঁটার
কী একখানা টুপি। কী উষ্ণতা। বিনিময় প্রথায়
চৌখশ এক প্রজাতির ধ্বংসের
কী বিনিময় প্রতারিতদের
কী একদিন। আমি অনুমতি চাইছি
সে-সব কথা বলতে যা থেকে ওরা আমায় বঞ্চিত করেছে
ওরা ওনাকে বেঁধে ফ্যালে। চাবুক দাগে। টুতু ছোঁড়ে
নোঢরা শুয়োরের দল
১৩
সাঁকোর ওপর এই তুমুল
উচ্ছৃঙ্খলতায় মগ্ন ঠগিদল যারা
নিশিডাকের শিকার আয়োজন করেছিল
এক চিলতে জায়গায় পরিযায়ীদের
ভুলতে পারার অযোগ্য রংবেরং ঘুমে
ঝুলছিল মাস্তুল থেকে। উড়ন্ত পোশাকের ঝড়ে
ফাঁসি মঞ্চের হীনম্মন্যতা
পতপতে পতাকের -প্রান্ত থেকে
ওপ্রান্ত জুড়ে ঝড়ের কেন্দ্রে
পায়ের বুড়ো আঙুল। বোঝা দায়
এমন প্রতীক-চিহ্ণ: যাঁড়ের
শিং ঘোড়ার লেজ ছাগলের
ন্যাকড়াকানিতে ঈগল
১৪
অতি পরিচিত
ঘাসজমিতে গোঁতাগু#তি করতে থাকে
এক কংকালসার আঙুলগাঁট
পোকামাকড়ের কলঙ্কে সুন্দরভাবে
সাজানো। সৈন্যসামন্তরা
গ্রেকো-রোমান কুস্তির প্যাঁচে
আটক। যে উঠোনে মৃত
সূর্যগুলোকে
পেরেক মারা হয়
সেখানে আতসবাজির শবে
নাকঝাড়া ফেনা ওড়ায়
অশ্য়ারোহী বীরবাহুর ঘোড়া
১৫
পাহারাদলের কতরআর
মেজাজ ভালো নয় কেননা
যে ঘোড়সওয়ারদের জানু
ঠিক ওই জায়গাতে ভেঙে পড়েছিল
সেই সমাবেশের খবরদারির কাজ পেয়েছিল সে
লেজ ঝাপটে
তাড়া করে সবুজ মাছিদের
যেগুলো আদপে জানে না
কোনদিকে ঘুরবে
ৎসঙ্গের অনুষঙ্গ জবাই করে ঝোলানো
কাঁচা মাংসের প্রদর্শনী
সোনার পাতা দিয়ে সাজানো
রঙিন ফিতে বাঁধা
১৬
গরডিয়াস রাজার বাঁধন। দড়িপেশির
এমন গিঁট যে
আর-কিছু না ভেবে শুকনিদের একটা পাখির
বদবুদ্ধি কিংবা তেলানো
থামের শেষ-প্রান্তে যুদ্ধ। ভালো ছিল না
আগে-ভাগে দেখতে পেল
একটা সিঁড়ির স্পন্দনে
এক দঙ্গল সাদাটে রাঁধুনি
ওপরে ওঠার সময়
হাঁসেদের পালক ছিঁড়ছে
তারপর ভেরি বাজালো মোরগ
ওপর নেমে এলো নিচে: ‘ঝাঁপাও!
ঝাঁপাও! ওর উদ্দেশ্যে
রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে উঙলো
১৭
একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল
কত দ্রুত। অন্য
কাকতাড়ুয়াটা বেশ মেনে নিয়েছে
নিজের পরিবর্তন গাছের
শাখার চেহারায় গাছের গাঁটে হাড়গিলে
একটা আস্ত বাকল
পাইনগাছের গ্রন্হিল চামড়া যা থেকে রক্ত বেরোয়
আর ফাটল প্রায় পৌরাণিক
স্বপ্নে ভীত দেবদূতদের চিৎকার: তাড়াতাড়ি করো
নষ্ট করার একটুও
সময় নেই। ওই সাদাসিধে জিনিসগুলো
ঘুরেঘুরে উড়ছে
কেঁদে কুটিকুটি ফুসফুস আর ওড়ানো পালক
যা তাকে অন্ধ করে তুলেছিল
আর জড়িয়ে যাচ্ছিল ঘায়ে
১৮
কত অচঞ্চল। হত্যাকারীর
ঢাল
হাঁটু গেড়ে
জন্তুরা ফোঁপায়। সাত সংখ্যার
চাবিকাঠি। অলৌকিকের
তিনকোণা চাকা
হাত
সেগুলোর অন্যতম নয়। চোখ
সেগুলোর অন্যতম নয়
সে এক স্বপ্নের প্রাণঘাতী
অসুখ। বেঁচে থাকার
অনায়াস বিপত্তি। ঘুমন্ত
ভবঘুরে মেয়েটি। দাবা খেলার
কেল্লা। পাদ্রীমশায়
এসব মাঙনা
১৯
স্কুলের কালচে টেবিলের ওপর
যেখানে মেয়েটি জুনমাসের ছারপোকার মৃত্যু পোষে
নখ খায় কলম চেবায়
বাগনে কালির সোনালি কাঁচপোকা চাটে
চিবিয়ে খায় রুলটানার কাঠ আর যষ্টিমধু
লাইন টানে আর মেটায়
তুলোট চোষকাগজ দাঁতে কাটে
লাইন টানে আরো খানিক জিভ বের করে
চোখ কোঁচকায় কাঁচপোকা খায়
পাদ্রিমশয়ায়ের (কী বেহায়া) চোখের সামনে
কিন্তু কেনই বা টের পাননি উনি যে
মেয়েটা টুকলি করে
২০
হতচেতন প্রত্যঙ্গ আগাপাশতলা স্খলিত করে
তার তরল
কাদা-থকথকে গলিপথ এড়াতে
যেখানে প্রবেশ হয়ে উঠেছে অসম্ভব
আরম্ভ হয়
বাহুর তলদেশ থেকে বেশ খানিক ঘোরাঘুরি শেষে
হারিয়ে যায় জোড় বাঁধে আর গড়ে তোলে শরীরের
নদীজলের আঙ্গিক
দুইর্বিপাক ঘনালো ভেঙে-পড়া জঙ্ঘার পেরেকের দরুণ
কারখানার নড়বড়ে যন্ত্র
রাত্রিতে বিনা আলোতে কাজ করায় অভ্যস্ত
সেজন্যই পুরো অন্তরপ্রদেশ
ফুরিয়ে গেল
বাইরে বেরোনোর চেষ্টায়
বিরল কার্ণিশের
সেই কোনঠাসা কষ্টকাতর জল-ফোঁটাগুলো
ফাঁকায় বেপরোয়া
আতঙ্কিত মাথাখারাপ লাফ
২১
যা বলা যায় না ( আর তা সত্বেও
আমার মত অনুযায়ী শবদ্দের চুপ থাকতে
বাধ্য কোরে যা
বলতে পারিনি ) যা বলা যায় না
তা হল যন্ত্রণার
মৌমাছিদের মধু। তা যে চাককে
বেঁধে রাখে সেখান থেকে বয়
দূষিত ঘা-বাঁধা কাপড়ের ঝিমঝিমে
স্বর্গ-হরকরার সোঁটার আগায়
হারিয়ে-যাওয়া মুখের আদল
অনুমান করা যেতে পারে
কী দিয়ে তা বানানো
২২
আর এবার এক আদল
যার মুখ কিছুটা ঘোরানো পায়ের
আঙুরলতায়
নীল রঙের কাপড়ে জড়ানো যেমনধারা লাল
ধরে আছে
কপালের ওপর দাঁড় করিয়ে-রাখা
নুনের থাম। আর সেই অন্য মুখশ্রী
যে আদলে অঘটন ছেয়ে আছে তারই
কান্নাফোঁটার উদ্গমে
গাল ছুঁইয়ে রেখেছে ভয়াবহ
কিশমিশ
২৩
বসার ব্যবস্হা সুন্দর বেতফলের বজ্রআগুন গাড়ি
বাবলাকাঁটার বজ্রআগুন আর
ফুলশয্যার বজ্রআগুন
ওপরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
ব্যুহবন্ধের বজ্রআগুন
কামানগোলার বজ্রআগুন
জনসাধারণের চিৎকারের বজ্রআগুন: ‘ওই যে ওখানে!
ওই যে ওখানে!’ মাটিপৃথিবীর
বজ্রআগুনে সাজানো পতাকার হর্ষধ্বনি
স্বর্গের উদ্দেশ্যে এক ঝরোকা
মদে রূপান্তরিত রক্ত। আর বস্তুটার ছায়া দাঁড়িয়ে
নিজেই বস্তুর রূপ ধরে
২৪
পুব থেকে পশ্চিমে
স্তব্ধতার চাদর ছিঁড়ে ফ্যালে। স্তব্ধতাকে
এমনভাবে কাঁদতে শোনা গিয়েছিল যে
হৃদয়ের কর্ণকুহরে
হয়ে উঠেছিল অসহ্য। কালির
এক নিশ্চিত ফোয়ারা
অসাধারণ কৃতিত্বে ভরপুর
কৃষ্ণকায় উড়ালের ফোঁটা-ফোঁটা নকশা
তাড়াহুড়োয় পোড়ানো আপোষকামী কাগজপত্র
যখন কী না বেয়োনেটের অঝোর ধার
নির্মম নিষ্ঠুরতায় ফালাফালা করেছে নিপীড়িতদের
২৫
হাঁটু গেড়ে ডাঁয়ে
আর বাঁয়ে। হায় একলা
আমাদেরই একজন ( এতে গর্ববোধের
কারণ নেই ( সংখ্যা দিয়ে গড়া
খবরের আঙরাখায়
কলরাব-ভরা বর্ম
একা-একা বাঁদিকে হাঁটুন গেড়ে
আর ডিন দিকেতুষার তখন অন্ধ মেয়েমানুঢ়ের ছোঁয়া দিয়ে
টেবিলের ওপর চাদর বিছিয়েছেআমি
আমাদের প্রজাতির একা হাঁটু গেড়ে বসি
হায় এই ঘরে যেখানে অপরাধ
সঙ্ঘটিত হয়েছিল আমার
সুশিক্ষিত আঘাতের হলুদ মুখ
ককিয়ে ওঠে কয়েকটা কথা বলার চেষ্টায়।


জঁ ককতোর জন্ম ১৮৮৯ সালে মৃত্যু ১৯৬৩ সালে আমি এই কবিতাটি অনুবাদ করেছিলুম হাংরি আন্দোলনের সময়ে ১৯৬৫ সালে। তারপর এটি কয়েকবার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়েছিল কবিতা পাক্ষিক দ্বারা। দ্বিতীয় মুদ্রণ  ২০০৯ সালে